এক সময়কার টোকাই!!! বর্তমানে কোটি টাকার মালিক

প্রকাশিত: ৭:৫৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আব্দুর রহমান ওরফে (মন্টু/মন্টা)ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার চর খলিফা ইউনিয়নের ৩ নং কলাকোপা ওয়ার্ডের স্থায়ী নিবাসী। আব্দুল কুদ্দুস মজুমদার এর ছেলে এই মন্টু/মন্টা গত ১৭/১৮ বছর আগে পরিবারের অভাব অনটন থেকে মুক্তি পেতে রাজধানী ঢাকায় চলে আসে। ৮ম শ্রেণী পাস মন্টু/মন্টা কোন কাজ না পেয়ে রাস্তায় কাগজ, বোতল ইত্যাদি কুরিয়ে ভাঙ্গারির দোকানে বিক্রি করতো। পরবর্তীতে বিভিন্ন দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো সে। ধীরে ধীরে টাকার লোভ তাকে নিয়ে যায় অপরাধ জগতের দিকে। অনুসন্ধানে জানা যায়, সে মাদক ব্যবসা, খুন, অপহরণ সহ নানাবিধ অপরাধের সাথে জড়িত। প্রায় পাঁচ জন মহিলার সঙ্গে পরকীয়া দ্বারা মহিলাদের স্বামীর সংসার ভাঙ্গা সহ তাদের অর্থ আত্মসাধের ঘটনার তথ্য পাওয়া যায়। মাত্র ক বছর আগে ৩ সন্তানের জননী এক মহিলার কাছ থেকে ৮ লক্ষ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণ আত্মসাৎ করে তার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করার ঘটনাও তথ্যে পাওয়া যায়।
আব্দুর রহমান ওরফে (মন্টু/মন্টা)র সম্পত্তি সম্পর্কে খবর নিয়ে জানা যায়, তার নিজ গ্রাম চর খলিফায় প্রায় ১২০ শতক ক্রয়ক্রিত জমি রয়েছে যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। এছাড়াও বসিলা পশ্চিম ধানমন্ডির বি ব্লকের ৭ নাম্বার রোডের তিন নাম্বার বাড়ির ৬ নং আলিশান ফ্লাটের ক্রয়-কৃত মালিক তিনি।যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি টাকা। সাভার এলাকায় ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের ৫ শতক জমি।ভোলা চরফ্যাশনে রয়েছে এক কোটি টাকা মূল্যের জমি। কোন উল্লেখযোগ্য ব্যবসা বা আয় ছাড়া এত সম্পত্তি প্রাপ্তির ব্যাপারটা অস্বাভাবিক। ইয়াবা সেবনকারী এবং ব্যবসায়ী এই আব্দুর রহমান মন্টু/মনটার সম্পত্তি এবং তার অপকর্মের সম্পর্কে পর্যাপ্ত অনুসন্ধান এবং বিচারের দাবি করে সচেতন নাগরিকরা সাংবাদিকদের বলেন, নারী লোভী বিকৃত মস্তিষ্কের অধিকারী মন্টু মনটাকে শীঘ্রই আইনের আওতায় এনে তার অবৈধ সম্পত্তি ও ব্যবসার পরিপূর্ণ তদন্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা করা একান্ত প্রয়োজন। উল্লেখ্য যে মন্টু/মন্টার দুর্নীতি উদঘাটনের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ হতে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দুদক চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দ্রুত আব্দুর রহমান (মন্টু/মন্টা) র সম্পর্কে দুদক পরিপূর্ণ তথ্য উদঘাটন করবে এবং তাকে যথাযথ শাস্তির আওতায় আনা হবে।