ভারতের বিরুদ্ধে কানাডার অভিযোগকে গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রকাশিত: ১:৫০ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন-এর আমন্ত্রণে দু’মাস আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসাবে সে দেশ সফর করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেপ্টেম্বর ৯ ও ১০ তারিখ রাজধানী দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিয়ে গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাকে নিজের বাড়িতে নৈশভোজে আপ্যায়ন করেছেন। আগামী বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকেই বিশেষ অতিথি হিসাবে পেতে আগ্রহী মোদী সরকার। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এই সব ইতিবাচক অগ্রগতি কোনওভাবেই ছায়া ফেলবে না ভারতের বিরুদ্ধে কানাডার তোলা অভিযোগের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নেওয়ার ক্ষেত্রে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন-এর উপদেষ্টা জাকে সুল্লিভান যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থানের কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। উপদেষ্টার সাফ কথা তারা কানাডার অভিযোগকে গুরুত্ব দিচ্ছে।

শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের পিছনে ভারত সরকারের এজেন্সির হাত আছে বলে সে দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এই প্রসঙ্গেই প্রেসিডেন্ট বাইডেন-এর উপদেষ্টার মন্তব্য, “এই ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে আমরা বিশেষ সম্পর্কের জন্য কোনও দেশকে ছাড় দিই না। আমরা আমাদের অবস্থান রক্ষা করে চলি”

প্রসঙ্গত, হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আগেই জানিয়েছেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগকে যুক্তরাষ্ট্র গুরুতর বলে মনে করে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন চায় অভিযোগের তদন্তে ভারত পূর্ণ সহযোগিতা করুক।

সুল্লিভান হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, “কানাডার অভিযোগ আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। এই ধরনের অভিযোগকে আমরা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করি। এই ধরনের ঘটনায় আমরা আক্রান্ত দেশের পাশে থাকি। আর আমরা তা করি দেশ নির্বিশেষে।”

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উপদেষ্টার বক্তব্য, “এ ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়ের প্রশ্নই ওঠে না। কারণ, দেশ নির্বিশেষে আমরা পাশে দাঁড়াই এবং আমাদের মৌলিক নীতিগুলি রক্ষা করি।”

এখানে উল্লেখযোগ্য হল যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদান অন্যতম। কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র-ফ্রান্স-ব্রিটেন-অষ্ট্রেলিয়া—এই পাঁচ দেশের ফাইভ আই’স বোঝাপড়ার অন্যতম হল প্রত্যেক দেশ অপরাধের তদন্তে একে-অপরকে সহায়তা করবে। কানাডার দাবি, তারা হরদীপ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে তাদের দেশের গোয়েন্দা তথ্য বাকি চার দেশকে দিয়েছে। যদিও অভিযোগের আঙুল তুলে যে দেশের কাছ থেকে তদন্তে সহযোগিতা করার কথা বলা হচ্ছে সেই ভারত সরকারের দাবি কানাডা প্রশাসন হরদীপ হত্যার তদন্ত নিয়ে কোনও তথ্য দেয়নি। বরং নিহত হরদীপ যে ভারতে নানা অপরাধ করে কানাডায় গিয়ে রয়েছে সে ব্যাপারে ভারত সরকার ২০১৮ সালে ট্রুডো প্রশাসনকে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছিল।