বাংলাদেশী রাষ্ট্রদুতকে গ্রহণ করেনি অস্ট্রিয়া। ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২৩ অনলাইন ডেস্ক,ঃ ঘটনাটি নজিরবিহীন, অস্বাভাবিকও বটে। একজন রাষ্ট্রদূতকে গ্রহণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন সাফাই চিঠি লিখেছিলেন, কিন্তু তা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। বিফলে গেছে ৬ মাসের চেষ্টা, তদবির। ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়ায় পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছিল পেশাদার কূটনীতিক মো. তৌহিদুল ইসলামকে। কিন্তু তাকে গ্রহণ করেনি ভিয়েনা। জানা গেছে, বহু বছর আগে ইতালির মিলানে কনসাল জেনারেল থাকা অবস্থায় তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অধস্তন এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে অসদাচরণের গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসা ছিল অস্ট্রিয়া সরকারের। ওয়াকিবহাল সূত্রের ধারণা, প্রত্যাখ্যানের পেছনে সেই অভিযোগ অন্যতম কারণ হতে পারে। মিস্টার ইসলামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিস্তৃত তদন্ত করে যে তাকে প্রমোশন এবং পদোন্নতি দেয়া হয়েছে তার দীর্ঘ বর্ণনা রয়েছে অস্ট্রিয়ার ইউরোপিয়ান এবং আন্তর্জাতিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রীর কাছে পাঠানো পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের চিঠিতে। দূতকে গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে গুরুত্বপূর্ণ ওই মিশনে নতুন রাষ্ট্রদূত না পাঠনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেগুনবাগিচা। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে কূটনীতিতে পোস্টগ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করা তৌহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন পরীক্ষায় তার ব্যাচে প্রথম। মিশন প্রধান হিসেবে একজন কর্মকর্তাকে মনোনয়ন দেয়া বাংলাদেশে একটি বিশাল কাজ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নৈতিকতা, বুদ্ধিবৃত্তিক, ব্যক্তিগত আচরণ এবং সার্ভিস রেকর্ডে বড় রকম পরীক্ষায় পাস করতে হয়। তা তত্ত্বাবধান করে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বডি এবং সরকারের এজেন্সিগুলো। এর সব বাধা পাস করার পর রাষ্ট্রদূত তৌহিদ ইতালি এবং চীনে মিশন প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত দুই বছর ধরে তিনি সিঙ্গাপুরে হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সামাজিক ও মূলধারার মিডিয়াকে পুঁজি করে বাংলাদেশে যে কেউ যে কারও বিরুদ্ধে বেপরোয়াভাবে অভিযোগ উত্থাপন করতে পারেন। অতীতে এসব মিডিয়া প্রপাগাণ্ডার শিকার হয়েছেন আমাদের অনেক কর্মকর্তা। যাই হোক, এসব অভিযোগের প্রতিটিই মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় প্রক্রিয়ায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হয়েছে। তাতে যদি দেখা যায় ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অসত্য এবং ভিত্তিহীন, তাহলেই তাকে পুনর্বাসন করা হয়। পেশাদার কূটনীতিক হিসেবে জনাব তৌহিদও একই রকম জোরালো প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন, তার বর্ণিল ক্যারিয়ারে সব বাধা অতিক্রম করেছেন। তাকে ডিরেক্টর (জাতিসংঘের ডি-১ র্যাংকের সমতুল্য) পদ থেকে ডিরেক্টর জেনারেল (ডি-২) হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে চীন ও সিঙ্গাপুরে মিশন প্রধান করা হয়। তাই আমি তার উচ্চ নৈতিকতা ও আচরণের বিষয়ে নিশ্চিত। বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ ও অস্ট্রিয়া উভয়ের মঙ্গলের জন্য তিনি ভিয়েনাতে উত্তম একজন রাষ্ট্রদূত হবেন। অস্ট্রিয়াতে রাষ্ট্রদূত তৌহিদ সম্পর্কে আর কোনো তথ্য প্রয়োজন হলে আমি যেকোনো সময় আনন্দের সঙ্গে তা সরবরাহ করবো। এমন একজন প্রতিশ্রুতিশীল রাষ্ট্রদূতকে সুযোগ দেয়ার জন্য আপনার সদয় নির্দেশনার দিকে তাকিয়ে আছি, যাতে তিনি প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন এবং অস্ট্রিয়াতে স্বাধীনতা, মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে পারেন। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: